ক্রীড়া হলো সংগঠিত, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিনোদনধর্মী ও দক্ষতাসূচক শারীরিক কার্যকলাপ। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর তাই লেখা পড়ায় অনন্য সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে দৃঢ় করতে চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও আয়োজন করে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের। ৩১ জানুয়ারি শুরু হওয়া সপ্তাহ ব্যাপি শিক্ষার্থীদের পারদর্শীতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের এই আয়োজন চলে ৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। স্পোর্টস সমূহকে ইনডোর আর আউটডোর এই দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। ক্যারাম ও দাবার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলাকে রাখা হয় ইনডোর ক্যাটাগরিতে। আর আউটডোরে আয়োজন করা হয় ফুটবল, দৌড় প্রতিযোগিতা, মোরগ লড়াই সহ বিভিন্ন দেশী-বিদেশী প্রতিযোগিতার। শুধু তাই নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিচর্চার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে সাথে ধর্ম চর্চায় সমান গুরুত্ব দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে কালচারাল উইকে আয়োজন করা হয় কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতার। যেখানে প্রতিযোগিরা শুদ্ধ কুরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখে।
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল ড. সালেহা কাদের মনে করেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ভালো মনের মানুষ হওয়া। আর তাই নিজের উপস্থিত হন ৮ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের ফাইনাল প্রতিযোগিতায়। পুরোটা সময় জুরে প্রতিযোগিতা উপভোগ করার পাশাপাশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্বায়নের যুগে শিশু-কিশোরদের যোগ্যবান বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠানটি গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষাকে আনন্দময়ী করার লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই একটি অংশ এই ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ। শিক্ষাবিদ ড. সালেহা কাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অভিনব দিগন্ত উন্মোচনের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ১৯৯৬ সালে রাজধানীর মিরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন এই বিদ্যায়তন। গৌরব আর সাফল্যের এই দীর্ঘ পথ চলায় চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ আজ ২৮তম বছর অতিক্রম করছে। যেখানে গত ২৭ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে ইউকে কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার গুণগত মান প্রসার একটি সফল বিদ্যায়তনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই কাজে বড় ভুমিকা রাখে বিভিন্ন কো-কারিকুলার এক্টিভিটিজ। তাই স্কুলটিতে রয়েছে একাধিক ক্লাব। ক্লাবগুলো শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি রুটিন অনুযায়ী স্কাউটিং, নাচ, গান ও শরীর চর্চার ক্লাসগুলোও অব্যাহত আছে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ধারণ করে জাতীয় দিবস সমূহে বাঙালী সংস্কৃতি চর্চাও হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। শুধু তাই নয়। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ড. সালেহা কাদের মনে করেন গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া দরকার। তাই হাসন-লালন, বৈশাখের গান, বৃষ্টি বন্দনার গান, দ্বৈত সংগীত, জারি-সারি, ভাটিয়ালী, পালাগান ও পুঁথিপাঠ ছেলে-মেয়েদের শেখানো হয় নিয়মিত। যাতে করে শিশু-কিশোররা বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে। বাংলা সংস্কৃতি হৃদয়ে ধারণ ও লালন করতে পারে। স্কুলের একটি ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য আছে। তা হলো ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে গঠিত “চেরী ব্লোসমস মাদার্স ক্লাব”। শিশুদের মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ডাক্তারি পরামর্শ, আইনগত পরামর্শ, রান্না শেখানো, ফ্রী ইংলিশ লার্নিং কোর্স সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয় সারা বছর।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে দেশ ও দেশের বাহিরে সমান ভাবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ল্ড হায়েস্ট নাম্বার পেয়ে আমেরিকা, ইউ-কে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়ন করছে। যা সমৃদ্ধ করছে প্রতিষ্ঠানের অর্জন আর সাফল্যের পাতাকে।
Office Address: Room no - 178, 7th Floor, Mukto Bangla Shopping Complex, Mirpur -1, Dhaka -1216 Bangladesh